প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর, বসতবাড়ীতে হামলায় আহত -০৬

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চাঁদার দাবীতে বসতাড়িতে হমলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের লেমুপাড়া পশ্চিমকান্দা গ্রামের মিলন তালুকদারের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় কামাল তালুকদার(৩০), হামিদা বেগম(৩৪), সেলিনা বেগম(৬৫), মিরাজ তালুকদার (২০), ত্র্যাড. সবুজ মোল্লা (৪৫) ও মিলন তালুকদার (৩২) গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে। গুরুতর আহত মিলন তালুকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কামাল তালুকদারসহ অনেকে লেমুপাড়া আবসনে কাজ করতেন। বর্তমানে মনির হাওলাদার তাদের কাজে বাঁধা প্রদান ও চাঁদা দাবী করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে একই এলাকার মনির হাওলাদারের নেতৃত্বে জসিম তালুকদার, নসু তালুকদার, সাজুু তালুকদার, নাসির তালুকদার রফিক তালুকদার, আল আমিন , সহিদ তালুকদার, বাচ্চু তালুকদার, নজির তালুকাদারসহ ২০/৩০ সন্ত্রাসী বাহিনী হক ষ্টিক, রমদা, ছেনা, দা, বগি দিয়ে মিলন তালুকদারের বসতাড়িতে হামলা চালায়। এবং মিলন তালুকদারকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় ওই বাড়ির ছয় জন আহত হয়।
আহত কামাল তালুকদার জানান, আমার চাচাকে এলোপাতারি কোপাতে দেখে আমি ও আমার বৃদ্ধ মা তাকে বাচাতে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার বৃদ্ধ মাকেও পিটিয়ে জখম করে। এসময় আমার ঘরে থাকা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর ছবি ও মালামাল ভাংচুর করে। হামলাকারীরা সবাই আগে বিএনপি-জামাত নেতা। এখন তারা নব্য আওয়ামীলীগের নেতা।
এ ব্যাপারে মনির হাওলাদারের সাথে মুঠো ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনে  ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন